২০১২ সাল। আমি তখন ক্লাস ৭-এ পড়ি। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার ছলে প্রথম সিগারেট ধরলাম তখন মনে হয়নি এটা আমার জীবনে
২০১২ সাল। আমি তখন ক্লাস ৭-এ পড়ি। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার ছলে প্রথম সিগারেট ধরলাম তখন মনে হয়নি এটা আমার জীবনে কতটা গভীরভাবে জরিয়ে যাবে। আমি সিগারেট খাবো না, সিগারেট আমাকে খেয়ে ফেলবে।
এটা ছিল এক ছোট কৌতূহল, কিন্তু সেই কৌতূহলই ধীরে ধীরে আমাকে নিজের মনের দাস বানিয়ে ফেলল। বছরের পর বছর আমি ধূমপানের গভীরে ডুবে গেলাম। অনেকবার চেষ্টা করেছি ছাড়তে পারিনি প্রতিবারই খুব বেশি হলে ১০-১৫ দিনের বেশি পারতাম না।
যখন বাইরে যেতাম, অন্য কাউকে ধূমপান করতে দেখলেই আমার ভিতরে একটা শক্ত টান তৈরি হতো। নিজেকে প্রতিজ্ঞা করতাম, আর ধূমপান করবো না, কিন্তু কেউ সিগারেট দিলে না বলতে পারতাম না। মন খারাপ থাকলে, কষ্ট পেলে মনে হতো সিগারেটই আমার একমাত্র সান্ত্বনা। একসময় আমি বুঝলাম আমি নিজেই নিজেকে হারিয়ে ফেলছি।
পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলো, নিজের প্রতি ঘৃণা জন্ম নিল। আমি ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছিলাম।তার পরে বুঝতে পারলাম, এই লড়াইটা আসলে সিগারেটের বিরুদ্ধে নয়, বরং আমার মস্তিষ্কের ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার লড়াই। আমার মস্তিষ্ক জানতো ঠিক কখন আমাকে প্রলুব্ধ করতে হবে।
বুঝতে পারলাম, আমি মস্তিষ্কের কৌশল বুঝতে পারছি না তাই হেরে যাচ্ছি। তারপর নতুন পথ বেছে নিলাম। মস্তিষ্কের সাথে লড়াই না করে, তাকে বোকা বানাতে শুরু করলাম।
এভাবেই আজ আমি ধূমপানমুক্ত। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নয়, বরং নিজের মস্তিষ্ককে ধীরে ধীরে বোকা বানিয়ে। আমি ফিরেছি সেই অন্ধকার থেকে, একরাশ অভিজ্ঞতা নিয়ে। কীভাবে মস্তিষ্ককে বোকা বানিয়ে, কষ্ট ছাড়াই ধূমপানকে চিরতরে বিদায় জানানো যায়।